মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সোমবার থেকে সাত দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যানবাহন চালকদের মধ্যে এই নির্দেশনা মানতে অনেকে অনীহা দেখায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছে হাইওয়ে পুলিশ।
সরেজমিনে চকরিয়ার বানিয়ারছড়া, পৌর শহর, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা, খুটাখালী ও ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে গেলে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশ মাস্ক বিতরণ করছে। মালুমঘাট হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ঔষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে রয়েছে। সরকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশের ভূমিকা ইতিবাচক, তবে জরুরী প্রয়োজনীয় যাতায়াতে তাদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এদিকে এক সপ্তাহ লকডাউনে সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চালু থাকার নির্দেশনা রয়েছে। বিপনি-বিতান, হোটেল রেষ্টুরেন্টসহ জনসমাগম হচ্ছে এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাফায়াত হোছাইন বলেন, সরকারী নির্দেশনা মতে ঔষুধ ও পণ্য পরিবহণকারী যানবাহন ছাড়া মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে ওসব যানবাহন চালক হেলপারদের মাস্ক বিতরণ সহ তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে হাইওয়ে পুলিশ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।