মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৫৫৩ জনের নমুনা টেস্ট করে ৮১ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ৪৭২ জনের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার শনাক্ত হওয়া ৮১ জন করোনা রোগীর মধ্যে ১ জন আগে আক্রান্ত হওয়া পুরাতন রোগীর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট। ৩ জন বান্দরবান জেলার ও ৫ জন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নতুন রোগী। অবশিষ্ট ৭২ জন করোনা শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর সকলেই কক্সবাজারের রোগী। তারমধ্যে, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৪৬ জন, রামু উপজেলায় ২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৫ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৩ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৭ জন, পেকুয়া উপজেলায় ৪ জন এবং মহেশখালী উপজেলার ৫ জন রোগী রয়েছে।
এনিয়ে, মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো-মোট ৬ হাজার ৮ শত ৩২ জন। কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে শুধু সদর উপজেলার রোগী রয়েছে ৩৩৫৩ জন। যা জেলার মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। এরমধ্যে, গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করছে ৮৪ জন। তারমধ্যে, ১০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১’২৪%।
এদিকে, গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৯৩১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮৭’৭২%।আক্রান্তদের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত হোম আইসোলেসনে রয়েছেন ৫১৩ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে রয়েছেন ১৫২ জন। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে রয়েছেন ৩৬ জন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসনে রয়েছেন ৩ জন, ফ্রেন্ডশিপ SARI হাসপাতালে রয়েছেন ১৫ জন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইসোলেসন সেন্টার সমুহে রয়েছেন স্থানীয় জনগণ ৮৬ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছেন ১২ জন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।