জাফর ওয়াজেদ

‘রক্ত যখন দিলাম ঢেলে, রক্ত আরো দেবোই/বীর বাঙালির ন্যায্য দাবি আদায় করে নেবোই।/’ রক্ত ঢেলে দিয়েছিল তাঁরা প্রতিরোধ যুদ্ধের শুরুতেই। সেই শোণিতধারায় লাখো লাখো মানুষের আত্মদান তুলে এনে দিল দেশ, মাটি, পতাকা। দুর্জয় প্রাণের আনন্দে, দুর্মর সাহসে পতাকা হাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল যারা মুক্তির মহামন্ত্র নিয়ে, ছিল সে তাদেরই একজন। সহযোদ্ধাদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে নিজেকে তৈরি করেছিল যোদ্ধায়। চোখে মুখে তখন অগ্নিস্ফূলিঙ্গ। রক্তে টগবগ করছে স্বাধীনতা। মিছিলের প্রথম সারির মুখটি ছিল সে। শ্লোগানে কাঁপাতো রাজপথ, শহীদ মিনারের প্রান্তে দাঁড়িয়ে শোনাতো কবিতা, কিংবা ছাপাখানায় সংকলন প্রকাশে, কলেজ ক্যাম্পাসে সমাবেশে ভাষণে কাঁপাতো দিকবিদিক। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে শ্লোগানের সুর ধরতে হতো অন্যদেরও। সবার গ্রহণীয়, বরণীয় কিশোর যুবাটি তখন ‘আঠার বছর বয়স কী দুঃসহ’ ছাড়িয়ে ঊনিশে পা। আর তখনই কাঁধে রাইফেল নিয়ে ‘বাম ডান’ করছে, চাঁদমারীতে হাতের নিশানা রপ্ত করছে – সেই একাত্তরের মার্চের তিন তারিখে শুরু। সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রশিক্ষণে আরো অনেকের সাথে সদ্য তরুণটিও কী কঠিন বজ্রশপথে উদ্দিপ্ত হয়ে ওঠেছে। বীর চট্টলার সন্তান বীরের মতো লড়াই করার লক্ষ্যে অবিচল ঝুঝি। শত কঠিন প্রতিকূলতা ভেঙ্গে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবার অগ্নিষ্পৃহা। একাত্তরে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, আরো উত্তাল বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ পুরো উপকূল। চারদিকে প্রতিরোধের নিজস্ব প্রস্তুতি। সঙ্গে যদিও রয়েছে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, শংকা, সংশয়। সব মিলিয়ে স্বাধীনতার দুর্মর স্পৃহা জেগে ওঠেছিল তা সর্বত্র। পাহাড়-সমুদ্র ছাপিয়ে মুক্তির বার্তা দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে গেছে তখন।

‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলা’র মহামন্ত্রে উদ্দীপ্ত মানুষ। একই মন্ত্রে যেন সবাই দীক্ষিত। বজ্রকণ্ঠের ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে সাগর-পাহাড়-গিরি ছাড়িয়ে। দিনরাত একাকার মুক্তির জয়গানে। শত্রুকে পরাস্ত করে প্রতি ইঞ্চি মাটিকে রক্ষা করার কী অমোঘ অঙ্গীকার সবার চোখে মুখে। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য দূর্জয় শপথ নেয়া হচ্ছে সবখানে। শপথের মঞ্চে সেই উদ্দীপ্ত তরুণ সাহসী প্রত্যয়ে ঘোষণা করে চলে নানা নির্দেশাবলী। রাজপথে মানুষের ঢল-মুক্তির মাহেন্দ্রক্ষণের সন্ধানে যেন সবাই। ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা, আমার প্রতিরোধের আগুনের’ পাশাপাশি ‘আঁরা চাটগাঁইয়া নওজোয়ান’ জোরে-শোরে বেজে ওঠছে। সামরিক কায়দায় স্যালুট দেবার প্রশিক্ষণে অনেক যুবা-তরুণ। বন্দুকের দোকানগুলো থেকে বন্দুকসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে যোদ্ধারা প্রস্তুত। অকুতোভয় বাঙালি সাহসের বরাভয়ে চড়ে প্রতিরোধের প্রহর শুরু করেছে সারাদেশে। ২৫ মার্চ যখন ঢাকায় চলছে গণহত্যা, তখনো মুক্ত চট্টগ্রাম ; টানা ৩০ মার্চ দুপুর পর্যন্ত। সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে তখন। কিন্তু এক পর্যায়ে প্রতিরোধের ব্যুহ ভেঙ্গে যেতে থাকে। ৩০ মার্চ দুপুর ২টা ১০মিনিটে কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বোমা হামলা চালানো হয়। আর এর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রাম নগরীর পতন। পাকিস্তানী বাহিনী বিমান এবং বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে একযোগে গোলাবর্ষণ শুরু করে। আতংকিত মানুষ; শহর ছেড়ে যায় অধিকাংশ মানুষ।

প্রশিক্ষণকালে গড়ে ওঠা যোদ্ধাদের গ্রুপগুলো বিভিন্নভাগে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। দু’টি গ্রুপ কালুরঘাট সেতু পাড় হয়ে বোয়ালখালিতে দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। তাদের সঙ্গে তখন ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর সদস্যরাও রয়েছেন। দু’টি গ্রুপই অবস্থান নেয় সেতুর পাড়ে। লক্ষ্য তাদের এপার থেকে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। পাকবাহিনী এরই মধ্যে পুরো চট্টগ্রাম শহর দখল করে নেয়। সেতুর অপর পারে সিএন্ডবি সড়কের মাথায় একটি চারতলা ভবনের ছাদে ভারী সমরাস্ত্র স্থাপন করে গোলাবর্ষণ শুরু করে। লক্ষ্য তাদের, সেতুর অপর পারে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা। সেতুর এপার থেকে পাল্টা গুলি চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। স্পিডবোটে থাকা দু’জন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। পাকবাহিনীর অব্যাহত গোলাবর্ষণের মুখে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন এপ্রিলের গোড়ায়।

কালুরঘাট পতনের পর যোদ্ধাদের একটি অংশ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ট্রাকে তাদের সঙ্গে বান্দরবান যান। এই গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর সদস্যসহ ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা, সংস্কৃতি কর্মী ও শিক্ষক। এসডিও হিসেবে দায়িত্ব পালনরত বাঙালি কর্মকর্তা আবদুশ শাকুরের সাথে দেখা করে সহায়তা চান। আবদুশ শাকুর বরং তাদের চন্দ্রঘোনা হয়ে রামগড় সীমান্ত পাড়ি দেবার উল্টো পরামর্শ দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ডিসি এইচ টি ইমামসহ দু’জন এসডিও সীমান্ত অঞ্চলে ততোদিনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কিন্তু আবদুশ শাকুর পাক বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষমান ছিলেন। ন’মাস পাক বাহিনীর সেবা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই গ্রুপটি বান্দরবানে অবস্থানকালেই বোয়ালখালি থেকে অপর গ্রুপটি সরে এসে পটিয়ায় অবস্থান নেয়। ৯ এপ্রিল সেখানে পাকিস্তানী বাহিনী বিমান থেকে বোমা ও গোলাবর্ষণ করে। ফলে তারা বান্দরবানে এসে আশ্রয় নেয়। এই গ্রুপে ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, ক্যাপ্টেন মাহফুজ, লেঃ হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরীসহ (স্যার আশুতোষ কলেজের শিক্ষক) কয়েকজন তরুণ যুবা এবং ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর সদস্য। এই দু’টি গ্রুপ মিলে ১০ এপ্রিল বান্দরবান ছেড়ে পাহাড়ী পথে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক হয়ে চন্দ্রঘোনার দোভাষী বাজারে ১৩ এপ্রিল অবস্থান নেয়।

দলপ্রধান মেজর জিয়া সিদ্ধান্ত দেন যে, রামগড় হয়ে তারা ভারতে যাবেন। তবে এই সড়ক সম্পর্কে তরুণদের পূর্ব ধারণা ছিল না। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, তরুণদের গ্রুপটি জীপ নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং রাস্তা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আসবে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বাকি সদস্যরা মেজর জিয়ার তত্ত্বাবধানে চন্দ্রঘোনায় অপেক্ষায় থাকবে। জিয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বল্প প্রশিক্ষিত ছাত্র-শিক্ষক-যুবাদের গ্রুপকে ঠেলে পাঠানো হলো ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি জীপে। যার সামনে ছিল সবুজ লালে মেশা হলুদ মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকা।

পাহাড়তলি বাজারের উত্তর দিয়ে রাঙ্গামাটি সড়কে মেশা রাস্তাটি ধরে রামগড় হয়ে ত্রিপুরা যাবার পথটি বেছে নিল তারা। তবে সড়কটি শত্রুমুক্ত কিনা পরখ করার জন্য দলটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্দেশ্যে যায়। জীপের সামনের আসনে অধ্যাপক দিলীপ দে, বোয়ালখালী থানার সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক শেখ মোজাফফর আহমদ, চাকসুর প্রথম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব এবং চালকের আসনে ইউনুস বসেন। পেছনে ছিলেন তরুণ কবি, সংস্কৃতিকর্মী ও ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, ছাত্রনেতা সুলতানুল কবির চৌধুরী, ফিরোজ আহমদ, মুহম্মদ ইদ্রিস, নূর, শামসু ও সিদ্দিকী। এরা সেই সব যোদ্ধা ; যারা পুরো মার্চে শহরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দিন-রাত, যুদ্ধজয়ের নানা কৌশলের প্রাথমিক বিষয় রপ্ত করেছেন কেবল। এঁদের সঙ্গে ছিল না প্রশিক্ষিত সামরিক সদস্য বা কোন যোদ্ধা। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কিছু আগে ‘হুজুরের মাজারের’ সামনে জীপটি মোড় নেয়। অপর পাশে ইমাম গাজ্জালী কলেজ। মোড় পেরুলেই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। তাঁদের জানা ছিল না পাকি বাহিনী ইতিমধ্যে কলেজে ঘাঁটি স্থাপন করেছে। কলেজ গেটে তাদের প্রহরা। জীপটি মোড় পেরুতেই পাকিবাহিনী সিগন্যাল দেয়। জীপের সামনে বাংলাদেশের পতাকা দেখে ওরা বুঝে ফেলে যে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের গাড়ি। অথচ গাড়িতে কোন বাঙালি সেনা নেই।

পাকবাহিনীর প্রথম গুলিটি এসে লাগে জীপের চাকায়। সংকীর্ণ রাস্তায় জীপ ফেরানোর উপায়ও নেই। অচল জীপের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে পাল্টা গুলি চালায় যোদ্ধারা। গুলি বিনিময়ের মাঝেও পাকিবাহিনী এগিয়ে আসতে থাকে। আর যোদ্ধাদের গোলাবারুদ শেষ পর্যায়ে। হঠাৎ একটি গুলি এসে বিদীর্ণ করে টগবগে তুর্কী তরুণ সাইফুদ্দিন খালেদের বুক। ‘জয় বাংলা’ বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অপর একটি গুলি এসে লাগে পাশে থাকা চাকসুর জিএস আবদুর রবের পিঠে। সংজ্ঞা হারান প্রথমে, তারপর ঢলে পড়েন মৃত্যুর বুকে। পার্বত্য ঘন জঙ্গলে ভরা অঞ্চল। আশপাশের জঙ্গলে আত্মগোপনে থাকা ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ অবস্থা বুঝতে পেরে পাল্টা পাকবাহিনীর উপর গুলি ছুঁড়তে থাকে। কিন্তু ততোক্ষণে পাকিবাহিনী জীপটাকে ঘেরাও করে ফেলে এবং অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী, শেখ মোজাফফর, ফিরোজ আহমদ এবং চালক ইউনুসকে আটক করে ফেলে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই এর শপথ নিয়েছিলেন ওরা। বাকীরা ‘ক্রলিং’ করে পাহাড়ী জঙ্গলে পালাতে সমর্থ হন। এর মধ্যে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মুহম্মদ ইদ্রিস। গুলি বিনিময়কালে পাকবাহিনীর কয়েকজন সেনা নিহত হয়। আটক যোদ্ধাদের নির্যাতন সহকারে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য আদায় করতে পারেনি। পাকবাহিনী তাঁদের হাত বেঁধে লাইন করে দাঁড়িয়ে ব্রাশফায়ার করে। ঘটনাস্থলেই তিনজন শহীদ হন। শুধু অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ফিরোজ আহমদ, তাঁর শরীরের পাঁচটি স্থানে গুলি লেগেছিল।

প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রথম পর্বে পাঁচজন তরুণ দীপ্ত যোদ্ধা অকাতরে প্রাণ দিলেন দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য। এঁদেরই একজন শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী ছিল সে তুর্কী তরুণ। পিতা তার ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ইষ্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের শ্রমিক সমাজের প্রাণপ্রিয় পুরুষ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় পরিষদ সদস্য জহুর আহমদ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী। সেই সত্তর, একাত্তর সালের যুদ্ধের আগে দেখা যেত যাঁকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ বানাতে। আবার সেই মঞ্চে বক্তৃতা বা আবৃত্তি করতে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরিতে সবার আগে দেখা যেতো তাঁকে।

স্বল্প প্রশিক্ষণ পাওয়া এই বীর যোদ্ধাদের পাক বাহিনীর এমবুশের মুখে ঠেলে দিলেও হানাদারের সঙ্গে সম্মুখ সমরে বীরের মতো লড়াই করেছেন। দেশ মাতৃকার ডাকে সব কিছু উপেক্ষা করে অস্ত্র হাতে নেমেছিলেন যে সকল তরুণ-যুবা সেদিন সেই একাত্তরে; সাইফুদ্দিন খালেদ তাঁদেরই একজন। তাঁর স্মৃতিতে চট্টগ্রাম শহরে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় স্বাধীনতার পরপরই। সে সড়ক ধরে হেঁটে গেলে, তাঁর দীপ্ত ছবি ভাসে, সমসাময়িকদের চোখে। মেধা-মননে, সাহসে-প্রজ্ঞায়, বুদ্ধিতে-কৌশলে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা সাইফুদ্দিন খালেদের কথা মনে এলে এই পঞ্চাশ বছর পরও মনে সাহস জাগে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বিস্মৃতির অন্তরাল থেকে তাঁর সাহসী মুখ এখনো ভেসে ওঠে। বলেছিল যুদ্ধে যাবার আগে ‘বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে যাবো / সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের আবার ফিরে পাবো।’

লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, মহাপরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)