ফেসবুক কর্ণারঃ
২০২০ সালে পুরো বছরে বৃৃহত্তর ঈদগাহ রোগী ছিল ৪৫ জন আর বিগত একসপ্তাহে ৪১ জন। আর বিগত ১০ দিনে শুধু ঈদগাহে হারালাম ১ জন মহিলাসহ মোট ৫ জন মুরব্বী। যার যায় সে বাড়ি বুঝে হারানোর বেদনা। মাঝে মাঝে ভাবি মায়ানমার সরকার ঠিক কতজন রোহিঙ্গাদের গুলি করেছিল জানি না, কিন্তু ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা সবকিছু ছেড়েই আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশের পাহাড়ে ছোট্ট কুটিরে। চলে আসার সময় কত কোটি কোটি টাকার ব্যবসা ছিল, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু মহিসসহ যাবতীয় সম্পদ। সবকিছু ছেড়েই একেবারে শুন্য হাতে রিফিউজি হল। এই টা একটা আঞ্চলিক সমস্যা এতেই এত বিসর্জন, আজ সারাদেশে ৮ লক্ষ এর ও অধিক মানুষ প্যান্ডেমিকে আক্রান্ত, অথচ কিছু মানুষ ২১/৩০ দিনের জন্য সামান্য কিছু বিসর্জন দিতে না রাজ।
কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যক্তি নজরুল ইসলাম বকসী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলেন ভারতে সেখানে তিনি কভিড১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, এই দিকে স্ত্রী ও ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে সাথে যুক্ত হলো করোনাও। বাবা-মা দুইজনকে ছেড়ে স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে মেয়েদের কথা একটু ভাবুন, নিজেদের একটু সেই পজিশনে চিন্তা করুণ, শপিং করা যাবে, সবকিছুই করা যাবে যদি আল্লাহ আমাদের এই প্যান্ডেমিক থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ সহায় ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়, কিন্তু তোয়াক্কালটা করতে হবে নিজেকে নিরাপদ রেখে, আল্লাহ আমাদের যে এলেম দিয়েছেন, সেটাকে কাজে লাগিয়ে, কোনভাবে আল্লাহকে পরীক্ষা করা প্রকৃত মুসলমানদের কাজ হবে না।
তাই আসুন আল্লাহর রহমতে আমরাও এগিয়ে যায়, গতবছর ২০ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মানে ঈদের আগে ও পরে বাংলাদেশের জন্য একটা বিভিষিকা ছিল, কক্সবাজার ও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। কক্সবাজারে যত মানুষ মারা গেলেন ৫৯% ই এই সময়ে গেলেন, তাই এই বছর ৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মানে ঈদের আগে ও পরে হবে সবচেয়ে খারাপ সময়। এই সময়টা যদি আমরা ব্যবহার করতে না জানি তবে গতবারের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ, আমিন।

ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির
সহকারী অধ্যাপক
সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন
২৫/৪/২১