টেলিফোন তুলে সবাই বলে ‘Hello’, কিন্তু কেন! কেউ কি জানেন এই ‘হ্যালো’ বলার প্রকৃত মানে কি? কোথা থেকে এই ‘হ্যালো’ বলা শুরু!
‘হ্যালো’ একটা মেয়ের নাম। পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো ( Margaret Hello)। তিনি আর কেউ নন – বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল এর গার্ল ফ্রেন্ড। গ্রাহাম বেল হলেন টেলিফোনের আবিস্কারক। আবিস্কারের পর তিনি প্রথম যে কথাটি বলেন তা হচ্ছে
– ‘হ্যালো’।
সেই থেকেই ‘হ্যালো’ বলে ফোন কলের প্রচলন শুরু। মানুষ গ্রাহাম বেলকে ভুলে যেতে পারে, কিন্ত তার ভালোবাসার মানুষটিকে নয়। আজও মানুষ ফোনে প্রথম কথায় আবিষ্কারকের প্রথম কথাটি বলে নিজের অজান্তেই তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আসছেন।
আবার কারো মতে, হ্যালো মূলত জার্মানি শব্দ। এটি প্রথমে Holo, Hallo ছিল। Holo বা Hallo বাংলায় ‘এই’ বা ‘ঐ’ অর্থে ব্যবহৃত হত।
১৮৮৬ সালে জার্মানিতে মাঝিকে ডাকার লক্ষ্যেই হ্যালো ব্যবহার শুরু হয়। তা পরবর্তী সময়ে পালাবদলে Holo> Hallo থেকে Hello হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে কাউকে ডাকা বা সম্বোধনের জন্য hello শব্দ ব্যবহৃত হয়।
হ্যালো শব্দটি নিয়ে বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, এটি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী উচ্চারিত একমাত্র কমন শব্দ, যা জাতি ধর্ম, বর্ণ ও ভাষা নির্বিশেষে সবার কাছে সমান জনপ্রিয়। তাই হ্যালো বেঁচে থাকুক অনন্তকাল।
কথা ও ছবি: সংগৃহিত
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।