বার্তা পরিবেশক:
মহেশখালী পৌরসভার নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ জুন) মহেশখালী পৌরসভাস্থ দক্ষিণ হিন্দু পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
অভিযোগে জানা যায়, মহেশখালী গোরকঘাটা দক্ষিণ হিন্দুপাড়ার মৃত রায় মোহন কর্মকার এর ওয়ারিশরা তাদের পৈত্রিক জায়গায় ঘরবাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঘেড়াবেড়াসহ কাঁচা ঘর নির্মাণ করে। কিন্তু এতে পৌরসভার অনুমতি নেয়া হয়নি অজুহাত তুলে মেয়রের লোকজন নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দেয়। এসব অভিযোগ মৃত রায় মোহন কর্মকারের ছেলে মাষ্টার প্রবির ও সমীরের।
তারা অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক বাড়িতে জায়গা সংকট হওয়ায় তারা নতুন বাড়ি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে অনুমতি নিতে গত ২৭ রমজান তাদের কাকা মদন দাশসহ মেয়র মকছুদ মিয়ার সাথে কথা বলতে গেলে মেয়র তাদেরকে কোন ধরনের সমাধান না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে তারা নিজেদের সুবিধার্থে কাঁচা ঘর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে মেয়র লোকজন দিয়ে নির্মাণাধীন ঘর ভেংগে দেয় বলে প্রবীর ও সমীর অভিযোগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া বলেন, এখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র পৌরসভার লোকজন গিয়ে তাদের কাজ না করার জন্য বারণ করেছেন।
এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুরের নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট দীপংকর ব্ড়ুয়া পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান প্রশাসনের প্রতি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।