রেজাউল করিম:
ইউটিউব এবং ফেইসবুকে মানহীন ও অশ্লীলতায় ভরপুর মিউজিক ভিডিও এবং শর্টফিল্ম এর রমরমা আয়োজন চলছে। দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে নিম্নমানের নির্মাতারা ভিউ ও আর্থিক লাভের আশায় তৈরি করছেন যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া কনটেন্ট। ইউটিউবে বেশ কিছু শর্টফ্লিম গানেও দেখা যায় এমন ভরপুর অশ্লীলতা। ডায়ালগ যেমন অরুচিকর ও অশ্লীল তেমনি এর ভিডিও বেশ অশ্লীল। এ মাধ্যমে সচেতনতা বলতে আপাতত কোনো কিছুই বাংলাদেশে নেই। মিউজিক ভিডিও এবং শর্টফিল্ম এর নামে যে যার মতো করে কনটেন্ট বানিয়ে ইউটিউবে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
অবাধ স্বাধীনতার নামে রসালো কনটেন্ট অবশ্যই কারও কাম্য নয়! জনপ্রিয়তার আশায় নির্মিত এসবে যুক্ত হয়েছে যৌনতা, অশ্লীলতা। প্রচারিত এসব ভিডিওতে অপ্রাসঙ্গিক ও অহেতুক যৌনতার সুড়সুড়ি, অশালীন সংলাপ ও অঙ্গভঙ্গি, মাদক গ্রহণের দৃশ্যবালির কারণেই সমালোচনার শেষ নেই। এই সুযোগে অনেকেই শুধু ইউটিউবের জন্য তৈরি করছেন অশ্লীল ভিডিও। এসব ভিডিওতে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে যৌন সুড়সুড়ি।
ইউটিউবে গান প্রকাশের বিষয়টি উন্মুক্ত থাকায় এর ফায়দা নিচ্ছে অশুভ মহল। অশ্লীল মিউজিক ভিডিও বানিয়ে তার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়ের চেষ্টা করছে তারা। অশ্লীল ভিডিও ও গান প্রকাশ করছে অখ্যাত সব চ্যানেল। এসব ভিডিওতে দেখা যায় অযথা শরীর প্রদর্শনের হিড়িক।
তারই ধারাবাহিকতায় চট্রগ্রাম এর আঞ্চলিক মিডিয়া তৈরি করছেন অশালীন ও অশ্লীল ভিডিও, যা দেখে নষ্ট হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, এসব বাজে ভিডিও বন্ধ না হলে অচিরেই নষ্ট হবে আমাদের শিশু ও তরুণ সমাজ।
তবে এসব মানহীন অশ্লীল ভিডিও’র মাঝেও অনেকেই তৈরি করছেন শিক্ষণীয় ভিডিও। তার মধ্যে অন্যতম হল family entertainment নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল। তারা তৈরি করেন শিক্ষণীয় সব ভিডিও। তাদের প্রতিটা ভিডিওতে থাকে এক একটি শিক্ষণীয় বার্তা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।