সিবিএন ডেস্ক:
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা ১৮ জুন এশার নামাযের পর মসজিদ থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন। তার এই মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় চলছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ড. তুহিন মালিক তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি স্টেটাস দিয়েছেন, নিচে তা হুবহু দেয়া হলো-

“গত ১৮ই জুন বান্দরবানের তুলাছড়ি পাহাড়ে একজন নওমুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যিনি পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা থেকে হয়েছিলেন ওমর ফারুক। যিনি পাহাড়ের বুকে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে নিজের জায়গায় মসজিদ বানিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি ইসলাম গ্রহণের ‘অপরাধে’ দীর্ঘদিন যাবত তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপর গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার বুকে এবং মাথায় গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের যেকোন ধর্ম অবলম্বনের, ধর্ম পালনের এবং ধর্ম প্রচারের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা সম্পুর্ন ব্যতিক্রম! পাহাড়ে এতো এতো মিশনারী। এটা নিয়ে পাহাড়িদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই। তারা দলে দলে অন্যান্য ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে। তা নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ উৎকন্ঠা নাই। তাদের সব উদ্বেগ। সব উৎকন্ঠা। কেউ মুসলমান হলো কি না। একজন ত্রিপুরার ইসলাম গ্রহণ ও ইসলাম প্রচার করার কারণে তাকে এভাবে হত্যা করতে হলো!

পার্বত্য অঞ্চলে নওমুসলিমের উপর নির্যাতন ও বৈষম্যের ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় নওমুসলিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শহীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরার খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

পাহাড়ে বাংলাদেশ বিরোধী সকল অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে পার্বত্য অঞ্চলে সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতারই প্রমাণ হবে৷ দেশের পাহাড় নিরাপদ হোক সব ধর্মের মানুষের জন্য, সমানভাবে।”