অনলাইন ডেস্ক: ফ্যাশনের জন্য নিজেই নিজের ভ্রু ছিদ্র করে প্রাণঘাতী ইনফেকশনে প্রাণ গেল এক স্কুলছাত্রীর। এক বান্ধবীর সহায়তায় বাড়িতেই এই কাজ করে সে।
ওই স্কুলছাত্রীর নাম ইসাবেলা ডি সুজা। ব্রাজিলের মিনাস জিরাইস অঙ্গরাজ্যের এনজেনহেইরো ক্যালডাস এলাকার বাসিন্দা সে।
ভ্রু ছিদ্র করে ফ্যাশন করার জন্য বাড়িতে অনুমতি চেয়েছিল ১৫ বছর বয়সী ইসাবেলা। তার মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে বারবার নিষেধ করে।
তা স্বত্ত্বেও এক বান্ধবীকে নিয়ে বাড়িতেই এই কাজ করে সে। আর সেটাই কাল হয় তার। মারাত্মক ইনফেকশন দেখা দেয় সেই ছিদ্র করা ভ্রুতে।
বাড়িতেই অদক্ষ হাতে ভ্রু ছিদ্র করার তিনদিনের মধ্যে নানান উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে ইসাবেলার শরীরে।
তারে চোখের চারপাশ ভয়াবহ রকম ফুলে যায় এবং চুলকানি শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালেই চার-চারবার কার্ডিয়াক (হৃদরোগ) অ্যারেস্ট হয় ইসাবেলার। মূলত ভ্রু ছিদ্র করার পর যে পিন সে পরেছিল সেই ‘ফরেন অবজেক্ট’ তার শরীর গ্রহণ করতে পারেনি।
আর তাই হাসাপাতাল বদলে আরও সপ্তাহখানেক চিকিৎসা নেয়ার পর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ইসাবেলা। তার আন্টি জুরাসিন ডি সুজা জানান, ইসাবেলার মতো ভাগ্নেকে হারানো খুবই মর্মান্তিক। তাই বাবা-মাসহ মুরুব্বীদের কথা শোনা উচিৎ ছেলে-মেয়েদের।
ইসাবেলাকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন ডাক্তাররা। বেঁচে গেলে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাবে বলেও পরিবারের লোকজনকে জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আর তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ফ্যাশনের জন্য নাক-কান, ভ্রুসহ শরীরে কোনো স্থানে ছিদ্র করতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া উচিৎ।
সূত্র : মিরর অনলাইন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।