ফেসবুক কর্ণার:
আপনার কোভিড স্ট্যাটাস যাই হোক, পজিটিভ বা নেগেটিভ
জরুরী চিকিৎসাসেবা বা আস্থাভাজন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে তখনি যখন –
জ্বর , কাশি ও অতিরিক্ত দুর্বলতার সাথে
~ শ্বাসকষ্ট যা অনবরত বাড়ছে
~ দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস এর পরিবর্তন বা খারাপ লাগা
~ বুক উঠা নামার হার বেড়ে যাওয়া ( মিনিটে ৩০ বারের বেশি)
~বুকে ব্যথাসহ শ্বাসকষ্ট
~ বুকের এক্সরে তে নিউমোনিয়ার লক্ষণ ( যদি এক্সরে করা হয়ে থাকে )
~ অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৩% এর নীচে চলে আসা
~ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার সাথে কোভিড পজিটিভ রোগী
~অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এজমা, হার্টের অসুখের রোগী
এছাড়া সন্দেহজনক বা কোভিড পজিটিভ রোগী শারীরিক কোন ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ না থাকলেও অক্সিজেন মাত্রা বা SpO2 : 93% এর কম থাকলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কারন সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অক্সিজেন সাপোর্ট লাগতে পারে
লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং টেলিমেডিসিন সেবা নেয়ার সাথে সাথে নিজের পরিবর্তন খেয়াল করুন, প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর পালস অক্সিমিটার দিয়ে নিজের অক্সিজেন মাত্রা দেখুন, আক্রান্তদের মধ্যে ৯০% রোগী কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই ভাল হচ্ছে এবং নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে ,নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরুন
মনে রাখবেন, যত দ্রুত কার্যকরী চিকিৎসা শুরু করা যায় তত জটিলতা কম হয় এবং অবহেলা করে অক্সিজেন মাত্রা বেশি কমে যাওয়া বা খারাপ লাগার ১০-১২ দিন পর “ঘরোয়া” চিকিৎসা নিয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন, সেই ক্ষেত্রে জটিলতা ও বেশি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হচ্ছে।

 

Ashiqur Rahman
ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও), জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার।
এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।