হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ………

বাংলাদেশের সমার্থক শব্দ বলা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী আমি। বিদ্যার সাথে বিনয়, শিক্ষার সাথে দীক্ষা, কর্মের সাথে নিষ্ঠা, জীবনের সাথে দেশপ্রেমের সংমিশ্রণেই আমাদের পথচলা।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……

জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার,বাঙালির সায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধীকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী আমি।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……..

যৌবনের প্রথমার্ধে প্রেয়সীকে প্রেম নিবেদন না করেই ছাত্রলীগ করেছি। খুঁজে নিয়েছি প্রতিবাদী বজ্র স্লোগানের দেশপ্রেমী মানুষের ক্লান্ত মিছিল।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ….

অন্যায়ের প্রতি হিংস্র গতিতে লক্ষ্য ঠিক,ইতিহাস রক্তে লেখা বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক। মুখে বলা জয় বাংলা আমি বাংলার সৈনিক।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ…….

আপনি সুশিল,আপনারা দেখে থাকেন আর আমরা ন্যায়ের পক্ষেই কন্ঠ তুলি সত্যের সাথে। আপনার দরজায় যখনি ঘাতকের করাঘাত হোক জীবন দিতে আমরাই প্রস্থুত।

হ্যাঁ আমরা ছাত্রলীগ…….

সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৫৬হাজার বর্গমাইল এক সার্বভৌম মানচিত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিলাম আমরাই। সেদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ নামটি প্রথম ছাত্রলীগই উচ্চারণ করেছিল। সেদিন বাংলাদেশের পতাকার ডিজাইন ও তৈরী আমরাই করেছিলাম।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ…….

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলন জোরালো করতে অবদান রাখা এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ভূমিকা রাখা কর্মীদের দলের লোক আমি।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ…….

বাষট্টির রক্তঝরা সেই দিন গুলিতে রক্ত ঝরিয়ে ১৯৬৬সালের ৬দফা আন্দোলনে শক্ত অবস্থানে থেকে ছাত্রলীগই ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……..

এশিয়ার বৃহৎ ছাত্র সংগঠন, গৌরব, ঐতিহ্য,সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশ ও দশের জন্য অজস্র নেতাকর্মীর প্রাণ বিসর্জন দেওয়া সংগঠনের সাহসী এক কর্মী আমি।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……..

কাজী নজরুলের বাধভাঙ্গার শৌর্য, ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, সুকান্তের অবিচল চেতনা ও তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা আদর্শই আমাদের মাঝে বিদ্যমান।

হ্যাঁ আমরাই ছাত্রলীগ……

১৯৭৫ এর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন কালো মেঘ ঘ্রাস করেছিল, সেই মেঘ সরাতে আলোর প্রদীপ হাতে শেখ হাসিনা এসেছিল ১৯৮১ সালে। সেদিন থেকে এখন অব্দি দেশরত্নের ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করছি আমরাই।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……

বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মডেল নায়িকা,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ১৯৮৮সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় আমরাই কাজ করছিলাম। সেদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে দিনে তিনবেলা রুটি ও রাত জেগে খাবার স্যালাইন তৈরী করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল দূর্গম এলাকার মানুষের কাছে।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ……

২০০২ সালে ২৩-জুলাই বিএনপির পুলিশবাহিনি ও ছাত্রদল ক্যাডাররা গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুর নাহার হলে ঢুকে ছাত্রীদের শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে থাকলে আমরা গিয়ে ছাত্রীদের ইজ্জত রক্ষা করি এবং দোষীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন করি।

হ্যাঁ আমরাই ছাত্রলীগ……

২০০৭ সালে ১৬জুলাই যখন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত সেনাশাসিত তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট গ্রেপ্তার হয় ঠিক তখনি আন্দোলনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরাই আন্দোলন করেছিলাম।

হ্যাঁ আমরা ছাত্রলীগ……….

কবি নজরুলের কবিতার মত মম একহাতে বাকা বাঁশের বাঁশরি, আর হাতে রণতূর্য, আন্দোলন সংগ্রাম, সকল অসময় অসময়ে, ইতিহাস ঐতিহ্যের সংগঠন (১৯৪৮-২০২১) অব্দি দুর্যোগ দূর্দিনে শীতে শীতার্তদের পাশে, অসহায় রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, পথ শিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, রক্তাক্তদের পাশে রক্ত দিয়ে,বিশেষ দিনে বৃক্ষরুপণ কর্মসূচি,ক্ষুদার্থদের খাবার দিয়ে, শ্বাসকষ্ট এড়াতে অক্সিজেন সেবা, কৃষকদের সহায়তা দিতে ধানক্ষেতে কাচি হাতে আমরাই নেমেছিলাম।

হ্যাঁ আমরা ছাত্রলীগ…………

সকল দূর্যোগের কাতারে আরো একটি নাম করোনা কাল। যেখানে দিনরাত খেয়ে না খেয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের প্রয়োজনে মহামারী পরিস্থিতি ঠেকানোর চেষ্টায় আমরাই মাঠে ছিলাম,এখনো আছি।

হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগ, হ্যাঁ আমরাই ছাত্রলীগ।

~ শাহেদুর রহমান।
প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।