বলরাম দাশ অনুপম:

অবশেষে ৪ মাস পর খুলে দেয়া হলো কক্সবাজার জেলার সকল পর্যটন স্পটগুলো। সাথে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক পর্যটক আসতে পারবেন কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে। শর্ত অনুযায়ি ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে হোটেল-মোটেল মালিকরা।

চলতি বছর করোনায় সংক্রমণ আবারো বাড়তে থাকলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্ধ হয়ে যায় কক্সবাজারের সকল পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র। সাথে বন্ধ থাকে হোটেল-মোটেলসহ সকল ধরণের কটেজও। পাশাপাশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সমুদ্র সৈকতে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। পরে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হয় পর্যটন৷

তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক পর্যটক ও হোটেল-মোটেলে ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটক এবং স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় বাড়ছে সমুদ্র দর্শনে। তবে অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক এবং মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিপুল পরিমান রাজস্ব হারিয়েছে সরকারও।

এজন্য লোকসান কাটাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের ভ্রমণের আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান। দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্রে কমচাঞ্চচল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।