ইনুর অস্বীকার
বাংলা ভিশন:
১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সংগে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ও কর্নেল তাহেরও জড়িত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এদের সংগে তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ ও জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলেও মনে করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে ফাটল ধরাতেই এসব কথা বলছেন শেখ সেলিম।
বুধবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিএমএ ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের প্রসংগ তোলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম। উপ-সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়া, জাসদ নেতা ইনু, কর্নেল তাহেরসহ সেদিন রেডিও স্টেশনে আনুগত্য প্রকাশ করতে যাওয়া সবাইকে ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সংগে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের দাবিও জানান শেখ সেলিম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে মারা গেলেন, তাঁর মৃতদেহটা দেখতে এলো না কেউ। সবাই রেডিও স্টেশনে গেলো। সেদিন যারা রেডিও স্টেশনে গেছে তারা এই ঘটনার সংগে জড়িত।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মধ্যে ফাটল ধরাতে এসব কথা নতুন করে বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনানুগ বিচার হয়েছে। সেখানে বাদী পক্ষ, সাক্ষীরা এবং বিচারপতি তাঁর রায়ের কোনো জায়গায় জাসদের নাম উচ্চারণ করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সংগে যেভাবে আমাদের নাম উল্লেখ করে বলা হচ্ছে তাতে প্রকৃত খুনিরা এবং ষড়যন্ত্রকারীরা আড়ালে যায়। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করবো, আপনার কাছের লোকেরাই খন্দকার মোশতাকের ভূমিকায় এখনও আছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ঐক্য চায় না।
আওয়ামী লীগে মোশতাকের মত লোকরাই এসব কথা বলছেন বলেও মন্তব্য করেন জাসদ সভাপতি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।