মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
সাতকানিয়ার কেরানীহাটে যানজট নিয়ন্ত্রণে কয়েক বছর আগে সড়কে বসানো হয়েছিল রোড ডিভাইডার। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ট্রাফিক মোডের রোড ডিভাইডার এখন মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে হতাহতের পাশাপাশি গাড়ির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারমুখী বালু বোঝায় একটি ট্রাক ডিভাইডারের উপর তুলে দেন। এতে গাড়িটির সামনের অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা যায়, সড়কে এসব ডিভাইডার বসানোর পর থেকে যানজট কিছুটা কমেছে। কিন্তু যানজট নিরসনের জন্য বসানো ডিভাইডারগুলো দিনের বেলায় উপকারী হলেও রাতের বেলায় বিপজ্জনক দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাতে ভাল করে দেখা না যাওয়ায় অনেক চালক এসব ডিভাইডারের উপর গাড়ি তুলে দিচ্ছেন। এতে করে প্রায় রাতেই দুর্ঘটনা ঘটছে। ডিভাইডারগুলোতে প্রতিফলক স্টিকার সাঁটানো না থাকায় রাতের অন্ধকারে ভাল করে দেখা যায় না। ফলে রাতের বেলা দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনা রোধে ডিভাইডারগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিফলক স্টিকার সাঁটানোর দাবি জানিয়েছেন যানবাহন চালক, যাত্রী ও সাধারণ লোকজন।
কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন, ডিভাইডারগুলো বসানোর আগে সড়কে নিত্য যানজট সৃষ্টি হতো। এখন থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে সড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সাতকানিয়া থানার তৎকালীন ওসি মোঃ রফিকুল হোসেন উদ্যোগ নিয়ে সড়কে ডিভাইডারগুলো বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এসব ডিভাইডার বসানোর পর কেরানীহাটে যানজট সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে। সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি রাখাও কমেছে। কিন্তু সড়কের উপর বসানো ডিভাইডার রাতের বেলায় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিফলক স্টিকার না থাকায় রাতে গাড়ির চালকরা এসব ডিভাইডার ঠিক ভাবে দেখতে পান না। ফলে প্রায় রাতে এসব ডিভাইডারের উপর গাড়ি তুলে দিচ্ছেন চালকরা।
কেরানীহাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নাজমুল ইসলাম বলেন, ডিভাইডার সংস্কার না হওয়ার বিষয়টি আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। আগামীতে কেরানীহাট গরুর বাজার পর্যন্ত ডিভাইডার বসানো হবে। তাছাড়া তাৎক্ষনিকভাবে পুরানো ডিভাইডার যাতে রাতে দেখা যায় সেজন্য রিফ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানো হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।