সিবিএন ডেস্ক: বর্তমানে দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমতিক্রমে ৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাকি নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি।
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৬টিতে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইউজিসি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) ভিজিট করে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০, কমিশনের নিয়ম-নীতি ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার সতর্ক ও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা- শিরোনামে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য প্রদর্শিত রয়েছে। নিয়মানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার সকলেই নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি রয়েছে ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রো-ভিসি রয়েছে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ট্রেজারার রয়েছে ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে কোন ব্যক্তি নিয়োজিত নেই।
কমিশনের ওয়েবসাইটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যাবলি শিরোনামের সেবাবক্সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে সঠিক তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং এর ফলে পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হলে অথবা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হওয়ার কারণে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওপর বর্তাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবিভাবক/শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কমিশন অনুমোদিত প্রোগ্রাম অনুমোদন পত্র প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় ভর্তির সময় তা দেখে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য আরো জানানো যাচ্ছে যে, বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া নামে বা স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অবৈধভাবে ওয়েবসাইট বা অফিস খুলে তথাকথিত পিএইচডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অদ্যাবধি কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা/ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টারের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন কমিশন কর্তৃক দেওয়া হয়নি। সুতরাং অননুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বা ডিগ্রি নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্যও শিক্ষার্থী/অভিভাবকদের পরামর্শমূলক সতর্ক করা হলো। উল্লেখ্য যে, কমিশন থেকে এ অবধি কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি প্রোগ্রাম পরিচালনা করার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।