চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে হামলা: বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় আদালতে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলার দুই আসামির মধ্যে বোমা মিজান ভারতের কারাগারে ও জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছে। রায়ের সময় জাবেদ ইকবালকে আদালতে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, আদালতে বোমা হামলা মামলায় বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। আরেক আসামি জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের শুনানি শেষে রোববার (৩ অক্টোবর) রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু ২০১৬ সালের ১৮ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরইমধ্যে অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তিন আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি।
এছাড়া অপর দুই আসামির মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান পলাতক ও জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।