আনম রফিকুর রশীদ:
ইদানিং কল দিলে ব্যস্ত দেখায়, ক্ষুদে বার্তা তাই,
মা-বাবার আল্টিমেটাম কড়া,
আমার আর অপেক্ষার সুযোগ নেই।
কাজির অফিসে এসো, কাজির দেউড়ির মোড়ে,
তোমারে আমি সারাক্ষণ নজরে নজরে রাখতে
একহালি জলডুবি আনারস নজরানা দেব।
কী বললে তুমি? সবাই দেয় সোনাদানা গয়না –
আনারস কী মোহরানা হয়!
চিল্লাও কেন? চুপি চুপি শোন, আনারসের সারা গায়ে চোখ,
ভেতরে রস টইটুম্বর। রসের স্বাদ চাইলে চোখ রাখতে নেই।
কী বলবে সোজাসুজি বলো, ভাজি মাছ উল্টে খেতে
জানো না, বিয়ের কথা শোনলেই পণ্ডিতি!
শাশুড়ির শাসন, ননদির টানাটানি, দেবরের দুষ্টুমি
অন্ধ চোখে সইতে হয়, চোখ থাকলে অশান্তি।
স্বামী কী করে, কোথায় যায়, দেরিতে কেন ফেরে?
এই-সেই দেখতে গেলে ঘর পরিষ্কার, রান্নাবান্না, কাপড় কাচার সময় কই!
নেতাদের দেখো, তাদের মুখে আনারসের জুস কত প্রিয়,
নিজের দলের দোষ দেখে না কেউ।
এজন্যই রাজনীতি ছেড়ে টিকটক অভিনেত্রী, স্বাধীন বন্ধনহীন তরুণী।
আমারও অঙ্গে আনারসের চোখ লাগাব
সবচোখ খোলা রেখে চারিদিকে দেখব
নিজের পিতার দোষ দেখলেও চুপ থাকব না
বয়স গেলেও তোর মত ছোট লোকের বউ হব না।
বেটা গিরিঙ্গিবাজ, ফিরিঙ্গি বাজার আয়,
তোরে চাক্তাই খালের পচা জলে চুবাই।
আনারস ও চোখ সমাচার
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।