বিনোদন ডেস্ক: গান ও পারিবারিক নানা বিতর্কে জড়ানোর পর বিয়ে-বিচ্ছেদ হলো তরুণ গায়ক ও ইউটিউবার মাঈনুল আহসান নোবেলের।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোবেল। যদিও মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সূত্র বলছে, ১১ সেপ্টেম্বর বিচ্ছেদের জন্য নোবেল বরাবর কাগজ পাঠিয়েছেন সালসাবিল।
এ প্রসঙ্গে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ। চরম মাদকাসক্ত, নারীনেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো; এসবের প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে তাদের মনোমালিন্য প্রকাশ্য হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সামনে চলে আসে দাম্পত্য কলহ।
শুরুটা গত ২৮ জুন। ২৩ বছরের তরুণ শিল্পী নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান—‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন সালসাবিল। ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছেন এবং নোবেলের কথাটি সত্য নয়।
এরপর নোবেল তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাগত ‘সন্তান হত্যা’র অভিযোগ তুলেছিলেন।
এর কিছু দিন পর নোবেলকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা গিয়েছিল। বান্দরবানে এক নারীর সঙ্গেও অপ্রীতিকরভাবে তাকে পাওয়া যায়। এমনকি স্থানীয়রা নোবেলের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আনেন।
অন্যদিকে, আজ (৬ অক্টোবর) এই তরুণ গায়ক ফেসবুকে জানালেন, তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিয়মিত বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন ২০১৯ সালে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন নোবেল।
এরমধ্যে নোবেলের গানের ভিডিওতেও হাজির হয়েছেন সালসাবিল। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নোবেল। মাঝে বিচ্ছেদের সুর উঠলেও সম্প্রতি ‘জেমস বিতর্ক’র সূত্র ধরে এক হন তারা। ঘুরে আসেন পাবনা মানসিক হাসপাতালও।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।