অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছরের শুধু পিইসি (প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা) পরীক্ষাই নয়, প্রাথমিক স্কুলের সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও বাতিল করা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ক্লাসেই এ বছর কোনো পরীক্ষা হবে না। শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দেয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষার বার্ষিক ও সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। চলতি শিক্ষাবর্ষের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৬ অক্টোবরের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অবশ্য এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এ বছর প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে হবে না। সম্ভব হলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর করোনার কারণে এবং শিক্ষার্থীদের পুরোমাত্রায় শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে না পারায় পাথমিকের কোনো ক্লাসেই পরীক্ষা নেয়া হবে না। মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
এদিকে গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সার-সংক্ষেপে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। স্ব স্ব বিদ্যায়ের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন করা যেতে পারে। আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ডিসেম্বরের শেষে বিগত শিক্ষাবর্ষের ন্যায় বর্তমান শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।