সাতকানিয়া প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক ব্যাবসায়ী যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার ৩দিন পর মারা গেলেন। নিহত যুবকের নাম পংকজ তালুকদার মনু (৩২)। তিনি উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পুর্ব নলুয়া তালুকদার বাড়ির সুপ্রকাশ তালুকদারের ছেলে ও চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা খলসীর দীঘির পাড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী।
গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলার সাধন মেম্বারের বাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটলে গুলিবিদ্ধ যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত দুটার দিকে মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের মরফলা তালুকদার বাড়ির পংকজ তালুকদার স্বপরিবারে একই উপজেলার কাঞ্চনা ফুলতলার সাধন মেম্বারের বাড়িতে কালি পুজা উপলক্ষে ঐদিন মামার বাড়িতে বেড়াতে যান।
আহত পংকজের মামাত ভাই জয় চৌধুরী বলেন, রাতে আমরা উঠানে বসে লুডু খেলছিলাম। ওই সময় আমার জেঠাত ভাই, পিসিত ভাই ও কাকাত ভাই বাহির থেকে এসে আমাদের বাড়িতে ঢুকে যেতে বলে জেঠাত ভাইয়ের ঘরের সামনে তাহারা বসেন।বাহির থেকে আসার সময় সময় জেঠাত ভাই সঞ্জয় চৌধুরী একটি বন্দুক নিয়ে আসেন ও এটি সবাইকে দেখান। তখন আমার বৌদি বললেন বন্দুকটি আসল নয় এটি নকল। পরে বন্দুকটি কাকাত ভাই অনিক চৌধুরী নিয়ে সবকিছু খুলে ট্রিগার টি টেনে রাখে। পরে ঐ বন্দুকে বুলেট ঢুকানোর সাথে সাথে বিকট শব্দে ফোটে গুলি বের হয়ে পংকজের পেটে প্রবেশ করে। এতে পংকজ গুরুতর আহত হলে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতে নেওয়ার পর সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে আইসিওতে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের মা চম্পা তালুকদার বলেন, অস্ত্রে গুলি কিভাবে ঢুকাবে একজন আরেক জনকে দেখাতে গিয়ে ফায়ার হয়ে যায়। এতে পংকজ গুলিবিদ্ধ হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যান।
সাতকানিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কাঞ্চনায় গত শুক্রবার রাতে একটি বাড়িতে আনন্দ করতে গিয়ে অসাবধানবসত বন্দুক থেকে ফায়ার হয়ে গুলিবিদ্ধ আহত যুবক মারা গেছেন। ঘটনাটি জানার পর পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।