নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাইদুল ইসলাম। হাতের ছোঁয়াই ‘আর্ট সাইদ’ নামে পরিচিত। তবে, রং আর তুলির জাদুতে জেলা পেরিয়ে এখন দেশব্যাপী মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে সাইদ। এছাড়াও তরুণ এই চিত্রশিল্পী ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং পেইন্ট কনসালট্যান্ট।
সাইদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের গ্রামে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
বিগত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আলোচনায় আসেন।
২০১৯ সালে তিনি কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে মারমেইড ইকো-ট্যুরিজমের অধীনে “১০০-মাইল আর্ট গ্যালারি” নামে একটি আর্ট প্রকল্পের কাজ শেষ করেছেন।
ব্যবসায়িকভাবে প্রথম তার যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। সাইদুল ইসলাম “আর্ট সাইদ” নামে একটি কোম্পানি খোলেন, যা এখনো চলমান। টিম আর্ট সাইদ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে থাকেন। আর্ট সাইদ শুধু একাই নন তার একটি বিশাল দলও রয়েছে। যারা আর্ট সাইদ নামের ব্যানারে কাজ করেন। তিনি একজন তরুণ শিল্পী, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং পেইন্ট কনসালট্যান্ট।
তার কাজের প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, হোটেল বে হিলস অফ গোল্ড স্যান্ডস, হোটেল সী সাইন, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, হোটেল বিচ ওয়ে,। ওয়াইল্ড ক্যাফে বান্দরবান, মারমেইড ক্যাফে রাঙ্গামাটি, গাজী রিসোর্ট খুলনা, মারমেইড গ্যালারি ক্যাফে ঢাকা কালমেঘা রিসোর্ট গাজীপুর, আর্ক প্লাজা চট্টগ্রাম- আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেন। তিনি এবং তার দল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের তীরে ৩০টিরও বেশি হ্যাচারিতে কাজ করেছেন।
আর্ট সাইদ ওরফে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গানের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসা, আর গানের মিউজিকগুলো আমায় ভিশনভাবে টানতো। এজন্য মাঝেমধ্যে গানও গেয়েছেন। কিন্তু, নামীদামী কণ্ঠশিল্পী হতে না পারলেও হয়েছি চিত্রশিল্পী।
সাইদুল বলেন, আমি একজন উদ্যোক্তা। বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং পেইন্ট পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।