কামাল শিশির, রামু :
মিয়ানমার থেকে ছোড়া আরো একটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে। এটি তৃতীয় দফায় আসা গোলা। শুক্রবার বিকেলে গোলাটি এসে পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডেও তুমবুরু ঘোনারপাড়া নামক এলাকায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তের লোকজন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় থেমে থেমে গোলাগুলি। বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারি অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড তুমবুরু ঘোনার পাড়া এলাকায় একটি গুলি এসে পড়ে। ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবদুর জব্বার গোলাটি প্রত্যক্ষ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে তুমুল গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। শুক্রবারও ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ি বিজিবি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৬ এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আনুমানিক শত শত গোলাগুলির শব্দ সীমান্তবাসী শুনতে পেয়েছেন। এমনকি ২০-২৫টি মর্টার শেল ফায়ারের শব্দও শোনা যায়। সেই সাথে শুক্রবার বিকাল ৩টার পর থেকে কয়েক দফা হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা গেছে।
ঘুমধুমের ২ নম্বর ওয়ার্ড তমবুরু ঘোনার পাড়া এলাকায় আরো একটি গোলা এসে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ফের আতংক দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টার শেলের গোলা একই ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এসে পড়েছিল। গোলাগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় পতিত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।