ইমাম খাইর, সিবিএন:
উখিয়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় বাধা দেওয়ায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)কে মারধর ও ডাম্পার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে পিআইও মো. আল মামুন বাদি হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন, জালিয়াপালং উত্তর পুকুরিয়া এলাকার শহর আলীর ছেলে ডাম্পার চালক মো. হেলাল উদ্দিন (২২), মো. জামাল উদ্দিন (৩২), কাদির হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির (৪০) এবং আবদুল গনির ছেলে বেলাল উদ্দিন প্রকাশ প্রফেসর বেলাল (৪৮)।
অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরো ২০ জন। সবাই পাহাড় খেকোচক্রের সদস্য।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. আলী।
তিনি জানান, পিআইও মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া ডাম্পার উদ্ধার ও আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে রাজাপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পুকুরিয়া উত্তর কামারিয়ার বিল নতুন মসজিদ এলাকায় সরকারি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গেলে ‘পাহাড়খেকো’ সিন্ডিকেটের হামলা ও মারধরের শিকার হন পিআইও মো. আল মামুন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মাটি ভর্তি ডাম্পার।
মামলার বাদি পিআইও মো. আল মামুন জানান, শনিবার সকালে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গেলে মাটি ভর্তি একটি ডাম্পার দেখে সেটি থামান। পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে ক্ষিপ্ত ও তর্কে লিপ্ত হয় পাহাড় খেকোরা। ইতোমধ্যে অনেক লোক জড়ো হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধর করে আটক ডাম্পার গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও।
প্রফেসর বেলাল পাহাড়খেকোচক্রের মূল সহায়তাকারী বলে জানান পিআইও মো. আল মামুন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজিব জানান, পিআইও মো. আল মামুনের ওপর হামলাকারী ‘পাহাড়খেকো’ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।