আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফে হ্নীলা বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই রাখাইন শিক্ষার্থীকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোচিংয়ের পড়া না পারায় বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে । মঙ্গলবার সকালে উক্ত স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে ছাত্রদের মধ্যে এখন আতংক বিরাজ করছে । এ ঘটনায় টেকনাফ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
জানা যায়,হ্নীলা চৌধুরী পাড়ার রাখাইন পল্লীর বাসিন্দা ক্য থিং জ এর ছেলে ক্য জ লাং ও চেন ছিন মং এর মেয়ে মো মো ছেন কে কোচিং পড়ার সময় অংক ভুল হওয়ায় বেধড়ক মারধর করেছে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শামশুদ্দিন । পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচলার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ভূক্তভোগীর পরিবার জানান, প্রধান শিক্ষক শামশুদ্দিন আমাদের ছেলে মেয়েদের প্রায় সময় মারধর করে , এবারও বেধড়ক পিটিয়েছে । আমরা এটার উপযুুক্ত শাস্তি চাই। প্রধান শিক্ষককে এই স্কুল থেকে সরিয়ে ভালো একজন শিক্ষক দিলে আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা উন্নত হবে । আমরা এই শিক্ষকের অপাসারণ চাই এবং এই ঘটনার উচিৎ বিচার দাবি করছি ।
মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন,অংক না পারায় রাগের মাথায় হালকা মারধর করেছি , এই জন্য আমি তাদের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি ।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন,আমারা বিষয়টি তদন্ত করছি। বিভিন্ন ডাটাগুলো কানেকশন করে আমরা একটা রিপোর্ট তৈরি করে আমাদের জেলা কর্মকর্তাকে দেবো । এরপরে ওনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন ।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন ,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে-মাঠে গিয়ে তদন্ত করছেন ,তদন্ত রিপাের্ট পাওয়ার পরে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।