আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে অজ্ঞান পার্টির পর এবার বমি পার্টি নগরীরতে কৌশলে লোকাল বাসে উঠেে টার্গেট করা যাত্রীর পাশে বসে গায়ে বমি। এরপর সেই ময়লা পরিষ্কারে এগিয়ে আসেন আরও কয়েকজন। এভাবে বমি করার পর পরিষ্কার করার নামে কৌশলে হাতিয়ে নেন যাত্রীর টাকা-মোবাইল থেকে শুরু করে মূল্যবান জিনিস। দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে এভাবেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল এই চক্র। শেষ পর্যন্ত কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে ‘বমি পার্টি’ চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর কাজীর দেউড়িএলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ময়মনসিংহ জেলা সদরের মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. রনি মিয়া (৩০), একই এলাকার মৃত মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. রানা ওরফে জিসান (৩২), শফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে মো. সুমন (২২) ও মকবুল হোসেনের ছেলে নাঈম আলম (২২)।
থানা সূত্রে জানা গেছে, চারজন বমি পার্টি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংকের আশপাশে অবস্থানে নেন এবং বাকিরা ব্যাংক থেকে টাকা নিতে আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করেন। টাকা নিয়ে যদি বাসে উঠেন তাহলে তারা ৪-৫ জনও একসঙ্গে বাসে উঠে পড়েন। বাস কিছুদূর চলার পর তাদের মধ্যে একজন টার্গেট করা ব্যক্তির গায়ে বমি করে দেন এবং অন্যরা টিস্যু দিয়ে বমি পরিষ্কার করতে করতে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও ২-৩ জনের নাম প্রকাশ করে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, ‘গতমাসে কাজির দেউড়ি এলাকায় সিটি বাসের ভেতর সাইফুদ্দিন খালেদ নামে এক ব্যক্তির গায়ে বমি করে বমি পার্টির এক সদস্য। এরপর কৌশলে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি গত ২১ নভেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন।’তিনি বলেন, ‘বুধবার বমি পার্টির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।