ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা দম্পতি পরীমণি ও শরিফুল রাজ। ভালোবেসে বিয়ে করলেও মাঝেমধ্যেই টানাপোড়েন দেখা যায় তাদের সম্পর্কে। এই ভালো তো এই মন্দভাব দেখা দেয় দুজনের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই বেশকিছু বিষয় নিয়েই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চলছিল রাজ-পরীর। তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন ঢালিউডের প্রতিবাদী এই নায়িকা।
তবে এবার যেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ খ্যাত লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর। স্বামী রাজের আচার-আচরণে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তার বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেছেন পরী। কিন্তু এখনও বিচ্ছেদ হয়নি তাদের। তবে খুব শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এমনটি জানান আলোচিত এই নায়িকা। পরী বলেন, এখনও আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি। তবে রাজের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে তার বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি আমি। আজ থেকে একেবারেই আলাদা হয়ে গেলাম আমরা। খুব শিগগিরই তাকে বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। বর্তমানে আমার মনমানসিকতা একদমই ভালো নেই, এর বেশি কিছু এখন আর বলতে পারছি না।
এর আগে বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন এই অভিনেত্রী। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আজ আমার জীবন থেকে রাজকে সারাজীবনের মতো ছুটি দিয়ে দিলাম আমি। সেই সঙ্গে নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে প্রয়োজনীয় আর কিছুই হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ ছবির শুটিং সেটে পরিচয় হয় রাজ-পরীর। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। এ বছরের ১০ আগস্ট জন্ম নেয় রাজ-পরীর প্রথম সন্তান রাজ্য। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তাদের জীবন। তবে বিয়ের এক বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের আভাস দিলেন পরী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।