নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার অনুমোদিত কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড “আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস”-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কক্সবাজার পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ড পাহাড়তলী রহমানিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দশটার দিকে হিংস্র হামলায় অনেক ছাত্র-শিক্ষক আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন, শিক্ষক মাওলানা সায়্যেদুল আমিন, ছাত্র আব্দুস সবুর, আরিফুল ইসলাম, আনোয়ার সাদেক, শফিউল আলম, রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র আব্দুল কাইয়ুম। আহতরা চিকিৎসাধীন।

হামলার খবরে পুরো এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আতঙ্ক বিরাজ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষদের মাঝে।

খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লম্বা জাফর, রফিক, নিশান, শহিদুল্লাহ, জাহেদ হোসাইন, রিপণ, রিয়াজ, জসিম, সিরাজ, ওয়াহিদুল আলমসহ আরো কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানিয়েছে।

রহমানিয়া মাদরাসা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদ বলেন, কমিটির সদস্য, ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে একটি দোয়া মাহফিল চলাকালে জমি দখল করতে আসে একটি সংঘবদ্ধচক্র। তাদের বাধা দিতে গেলে হামলা চালায়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত হয়।

মাদরাসার পরিচালক (মুহতামিম) মাওলানা মুফতি সোলাইমান কাসেমী বলেন, সন্ত্রাসী ও প্রকৃতির বহিরাগত লোকজন মাদরাসার সীমানায় ঢুকে সশস্ত্র হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী জানাই। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাত সোয়া ৮টায় মুঠোফোনে বলেন, মাদরাসার পরিচালনা কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য ঘটনা হয়েছে শুনলাম। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।