সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ‘গৌতম বুদ্ধ এওয়ার্ড’ পেয়েছে। খন্দকার সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্রটির প্রযোজক শারিফ উল আনোয়ার সজ্জন, মুখ্য অভিনয় শিল্পী আইনুন পুতুল এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিকের হাতে বিচারক মণ্ডলী পুরস্কার তুলে দেন।
গত ১৬ থেকে ২০ মার্চ নেপালে অনুষ্ঠিত হলো নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে ৩৫টি দেশের ৯৫টি ছবি দেখানো হয়। উৎসবের ওয়ার্ল্ড প্যানোরমা ইন্টারন্যাশনাল ফিচার বিভাগে গত ১৭ মার্চ রাজধানী কাঠমান্ডুর দুইটি সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হয় ‘সাঁতাও’।
গত ৩ মার্চ ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র আয়োজনে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রতিযোগিতা সেরা ‘প্রযোজনা এবং পরিকল্পনা’ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়। গত ৫ মার্চ ভারতের কেরলা প্রদেশের ত্রিশুল শহরে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসব ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ত্রিশুল (ইন্ডিয়া)-এর ১৮ তম আসরে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। এর আগে চলচ্চিত্রটি গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানওরমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘ফিফরিসি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিল।
গত ২৭ জানুয়ারি ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে। এরপর বিকল্প ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে ২৪ তারিখে ভারতের ‘৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’ চলচ্চিত্র উৎসবের গোয়া প্রদেশের পাঞ্জি শহরে চলচ্চিত্রটির ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’ হয়।
কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’।
গণ-অর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’-এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক। ‘‘সাঁতাও’’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন, সহকারি পরিচালক হিসাবে ছিলেন শ্যামল শিশির, সুপিন বর্মণ ও মাসুদ রানা নকীব, সম্পাদনা, রং-বিন্যাস, এফেক্ট ও টাইটেল, সাউন্ড ডিজাইন ও সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ, শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রহণে ছিলেন সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন, আবহ সংহীত করেছেন মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ, গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রাব্বী, লায়লা তাজনূর সাউদী, লিমা হক, শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন রবি দেওয়ান, পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আফ্রিনা বুলবুল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন ফাহিম রায়হান, রূপসজ্জা করেছেন ফরহাদ রেজা মিলন, পোস্টার ডিজাইন করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম। চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মোঃ হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।