সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বনভূমির গুরুত্ব ও বনভূমি রক্ষায় আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে ইয়ুথ কনজারভেশন করপস (ওয়াইসিসি) এর আয়োজনে ‘সুস্থ মন ও শরীরের জন্য সুস্থ বনভূমির প্রয়োজনীয়তা ও তরুন-যুবদের করণীয়’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ মার্চ রাতে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রেখেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগের উপপ্রধান বন সংরক্ষক (ডিসিসিএফ) ড. মোঃ জগলুল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যেটুকু বন রয়েছে, সেই বনভূমিকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্থানীয় যুব জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়াইসিসি এই কাজটিই করছে। এই ধরণের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা বনভূমির পাশে বাস করেন তারা বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বনসংরক্ষণ উদ্যোগে যুক্ত করা হবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউএসএইড বাংলাদেশ এর অফিস অব দ্য ইকনোমিক গ্রোথ এর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট আশরাফুল হক এবং ওয়াইসিসির সহযোগী সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রিণ সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনি।
ওয়েবিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি পার্টনারশিপস টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (কম্পাস) প্রকল্পের লিড ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন, এবং সঞ্চালনা করেন ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস-এর ওয়াইসিসি স্পেশালিস্ট মোঃ মোফাক খারুল ইসলাম তৌফিক।
ওয়াইসিসির সহযোগী সংগঠন গ্রিন সেভার্স, ইপসা, তাজিংডং, এআইটি এবং ওয়াইসিসির গ্র্যাজুয়েটস ও বর্তমান প্রশিক্ষণার্থীসহ মোট ৮৭ জন উক্ত ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আশরাফুল হক বলেন, ‘তরূণ প্রজন্মকে পরিবেশবান্ধব পেশার কথা ভাবতে হবে এবং ভবিষ্যৎ সুস্থ জীবনের জন্য পরিবেশ বিষয়ক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে। ইউএসএইড বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মতো এই কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’ কম্পাস প্রকল্প লিড ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন ওয়াইসিসি তরুণদের প্রশিক্ষণ শেষে নিজ কমিউনিটিতে ফেরত গিয়ে বন সংরক্ষণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়েবিনার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বন দিবসে ওয়াইসিসি কক্সবাজারের ৪টি উপজেলার ৬টি স্কুলের ৯০০ ছাত্রী-ছাত্রীদের মধ্যে বন সচেতনতা কার্যক্রম, ক্লাস নেয়া এবং ছবি আঁকা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছে।
উল্লেখ্য, US Forest Service এবং USAID এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (Compass) প্রকল্পের আওতায় YCC কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করছে। গত তিন বছর ধরে YCC স্থানীয় সংস্থা ইপসা, AIT Cox’s Bazar, তাজিংডং এবং গ্রিণ সেভার্স এর সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত এবং পড়াশোনাবঞ্চিত তরুণ-তরুণী YCC’র এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।