এফ এম সুমন, পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়া রাজাখালীতে আলহাজ্ব মোহাম্মদ কবির চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তি প্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী ও রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের কলেজ শাখার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের হলরুমে এই পুরস্কার বিতরনী ও কলেজ শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এতে আলহাজ্ব মোহাম্মদ কবির চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমার সভাপতিত্বে ও বৃত্তি পরীক্ষার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এ জে এম গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, জেলা পরিষদ সদস্য এইচ এম সওকত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ চৌধুরী, পরিক্ষার পৃষ্ঠপোষক এটিএম শামসুদ্দিন চৌধুরী, রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউছুফসহ আরো অনেকে।
আলোচনায় কলেজের পৃষ্ঠপোষক এ জে এম গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনের মুল উদ্দেশ্য হলো, রাজাখালীর মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষার হার বাড়ানো এবং বাল্য বিবাহ রোধ করা। আমরা চাই প্রতিটি নারী শিক্ষিত হোক বাল্য বিবাহ বন্ধ হোক৷ রাজাখালী থেকে কলেজ বেশি দূরে হওয়ায় বেশিরভাগ নারী শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার আগেই বিয়ের পীড়িতে বসে যায় কিন্ত কলেজ পর্যন্ত পড়ালেখা করলে তাদের অন্তত বাল্য বিবাহ ঠেকানো সম্ভব হবে। এই কলেজে গরীব ও মেধাবীদের জন্য বিনামূল্যে পড়ালেখা করার সুবিধা ও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন তার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ১৪ জন, সাধারণ গ্রেডে ৭৪ জন বৃত্তি লাভ করেন। তাদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা৷
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর হায়দার, রাজাখালী বেসরাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুফিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ রাজাখালী ফৈজুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আলহাজ্ব মোহাম্মদ কবির চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বৃত্তি প্রাপ্তদের মাঝে সনদ পত্র তুলে দেন৷
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।