রামু প্রতিনিধি:
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে রামুর মেয়ে মেহরিন রাহাব্বাত ইপ্সিতা। মেহরিন রাহাব্বাত ইপ্সিতা সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত এ অংশ নিয়ে ১ম স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহন নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও সে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে লোক সংগীত বিষয়ে অংশ নিয়ে ২য় স্থান অর্জন করে। ইপ্সিতা ইতিপূর্বে আরও চারবার সারা বাংলাদেশের মধ্যে সেরাদের সেরা হয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে।
ইপ্সিতা রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ইপ্সিতা শ্রেণি পরীক্ষায় ১ম স্থান অর্জন করে আসছে। সৃজনশীল কর্মকান্ডের কারণে অল রাউন্ডার হিসেবে ইপ্সিতাকে বেষ্ট এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মেধাবী ও সৃজনশীল ছাত্রী মেহরিন রাহাব্বাত ইপ্সিতার বাবা এডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী কক্সবাজার জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এবং রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। মা ফাহমিদা আহমেদ ইতি গৃহিনী। বাবা-মা দুইজনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ইপ্সিতার বড় বোন ঈষিকাও জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সারাদেশের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক অর্জন করেছিলো। ঈষিকা বর্তমানে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে (অনার্স) অধ্যয়নরত আছে।
জানা গেছে- মেহরিন রাহাব্বাত ইপ্সিতা ওস্তাদ ফারুক আহমেদ এর ছাত্রী। সে সংগীত শিল্পী সোনিয়া বড়–য়া ও বাবুল ইসলামের কাছ থেকে তালিম নিয়েছে।
মা ফাহমিদা আহমেদ ইতি জানান- কদিন পরেই ইপ্সিতা উচ্চাঙ্গসঙ্গীত বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে। সে যেন চট্টগ্রাম বিভাগের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এজন্য তিনি রামু তথা কক্সবাজার জেলাবাসির দোয়া কামনা করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।