চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে রাশেদ বেগম (৫০) নামে দুই সন্তানের এক জননীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ হত্যাকাণ্ড কখন ঘটেছে তা তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও রবিবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
হত্যার শিকার রাশেদ বেগম উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনা পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রকাশ তোতা মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ঘটনার দিন বাড়িতে একাই ছিলেন রাশেদ বেগম। দুই মেয়ে বিবাহিতা। তারা শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তার স্বামী নুরুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য দুই দিন আগে চট্টগ্রাম শহরে ছিলেন। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে জবাই করে হত্যা করতে পারে। তবে এলাকাবাসীরা জানায়, আশা খাতুন এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে সুদের বিনিময়ে নগদ অর্থ লেনদেন করতেন। হয়তো ওইসব কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
নিহতের ভাসুরের ছেলে মো. নাছির উদ্দীন জানান, টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও আর্থিক লেনদেনের কারণে হয়তো আমার চাচীকে খুন করা হয়েছে, তবে বাকিটা আল্লাহ জানেন। আমরা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এদিকে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল হাসান ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসার দরজা খোলা ছিল। একা বাড়ি হওয়ায় বিষয়টা কেউ খেয়াল করেনি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও মেয়েকে থানায় আনা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।