রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরে স্বামীর সহায়তায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় গৃহবধূ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
গত কয়েক মাস আগে মিঠাপুকুর থানার বিদ্যুৎ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার চেষ্টা করেন স্বামী বিদ্যুৎ মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে স্বামী চার খদ্দেরের হাতে তুলে দেন স্ত্রীকে। বাড়ির পাশের বিল এলাকায় একটি আখ ক্ষেতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ভিকটিম ঐ অবস্থা থেকে এসে ৯৯৯ এ কল দিলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রংপুর মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী বিদ্যুৎ এবং খদ্দের সাকিনুর ও গফফারকে গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে নির্যাতিতা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওসি আরও বলেন, পরে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় বিদ্যুৎসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। অভিযুক্ত অপর দুজন আবু তালেব এবং জাহিনুরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নির্যাতিতার মা বলেন, যারা আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আর কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।