চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় ট্রলি ব্যাগে পাওয়া ৮ টুকরো লাশের পরিচয় ও খুনের রহস্য উন্মোচন করেছেন (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই। এমনকি লাশের অবশিষ্ট অংশ আকমল আলী রোডের আবর্জনায় ভরা খালে পাওয়া গেছে।
নিহত মো. হাসান (৬১) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। পিবিআইয়ের সংগ্রহ করা তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) অস্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে, সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির জামাল মিয়ার গ্যারেজ।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের পকেট গেইট এলাকার জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় হাসানকে খুন করা হয়েছে। ওই বাসায় হাসানের ছোট ছেলে তার স্ত্রী-সন্তানসহ থাকেন।
পিবিআই আরও জানিয়েছেন, হাসান ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে এলে পরিবারের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলতে থাকে। সেই জেতে তাকে খুন করা হয়। স্ত্রী এবং ২ সন্তান মিলে এই বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই। স্ত্রী এবং ১ সন্তান আটক হলেও অন্য এক সন্তানকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত একটি লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে মাথা ও শরীরবিহীন খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়।
ঝোঁপের ভেতর পড়ে থাকা লাগেজ থেকে এলাকায়বাসী পুলিশকে খরব দিলে পুলিশ এসে মানব দেহের হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল।
জানা যায়, ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কের একটি গলির ভেতর রাস্তার পাশে ঝোপে কফি রংয়ের লাগেজটি ফেলে রাখা হয়েছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।