আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজ। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যাত্রা করে জাহাজটি । দুপুরের দিকে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাটে বার আউলিয়া পর্যটকবাহী জাহাজে ভিড় করেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। এ সময় কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তারা তদারকির দায়িত্বে পালন করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নয়ন শীল জানান, কোনও জাহাজ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য তদারকি করছি। প্রথম দিনে ৫১৭ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজ সেন্টমার্টিন রওনা করেন। এ জাহাজে সাড়ে ৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা আছে।
ভ্রমণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, দ্বিতীয় বারের মতো প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের দলে ২০ জন আছে। তবে আসার পথে টেকনাফের মাঝপথে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল।
বার আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রথমদিনে আমাদের জাহাজে ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সমুদ্রের পরিবেশ শান্ত দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনানা চৌধুরী বলেন, বুধবার সকালে ওই পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৫০০ এর বেশি ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিনে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ জাহাজগুলো চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল। ওই সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক, এসটি শহীদ সালাম, এমভি পারিজাত, এমভি রাজ হংস, সুকান্ত বাবু, এমভি বে ক্রুজ এবং এমভি বার আউলিয়া জাহাজ চলাচল করেছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।