ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার(২৪ অক্টোবর) রাত ১০ থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে উপকূলে অতিক্রম করবে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় উপকূলীয় ১০ জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে বিবেচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১০ এলাকার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে রান্না করা খাবার ও সুপেয় পানি, শিশুদের খাবার ও গো-খাদ্য দেওয়ার জন্য আমরা এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছি। প্রতি জেলায় ২০ লাখ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপকূলীয় ১০টি জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মঙ্গলবারের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপকূলীয় ১০টি জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মঙ্গলবারের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মাকর্তারা কাজ করছেন। তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়ায় সংকেতও বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ উপকূলের ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে। স্থানীয় হুঁশিয়ার সংকেত নামিয়ে পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্ররকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।