হামুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক হবে

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছে বিপুলসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত জনসমষ্টি। তবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা অতিদ্রুত স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা অতিদ্রুত স্বাভাবিক করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টার মধ্যেই তা স্বাভাবিক হবে। যদিও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে আরও দ্রুত সব লাইন সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার এবং চট্টগ্রাম-১ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৪ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ৫৫ হাজার এবং চট্টগ্রাম-১ পবিসে ১ লাখ ৩০ হাজার সংযোগ রিকভার করা হয়েছে।

প্রায় ৭০০ জন লাইন ক্রু ১৬৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও নিয়মিত লোকবল ও ঠিকাদারদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম পিবিএস-২ ও চট্টগ্রাম পিবিএস-৩ থেকে অতিরিক্ত লোকবল ও ঠিকাদারকে কক্সবাজার জেলায় পাঠানো হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গ্যাস সরবরাহে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।

উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজার শহর।

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি গণমাধ্যমকে জানান, অনেকগুলো বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে এবং ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ সঞ্চালন পুরোপুরি ঠিক হতে দুইদিন সময় লাগবে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে টেলিযোগাযোগসেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে দেখা দেয় মোবাইল নেটওয়ার্ক জটিলতা।
সংশ্লিষ্ট অপারেটর থেকে মেসেজ দিয়ে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎসেবা বিঘ্নিত হওয়ায় মোবাইল সেবা পেতে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছে।