আব্দুস সালাম, টেকনাফ:
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে দুই দিন ধরে জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ সাগর পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে তিনি বলেন, ‘সমুদ্র বন্দর থেকে সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কেয়ারী সিন্দবাদ, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন ও বার আউলিয়া এই তিনটি জাহাজ ছেড়ে যাবে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া আড়াই শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে গেছেন তারাও ফিরতে পারবেন। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাইকিং করে সোমবার দুপুরে সব পর্যটককে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। বিকালে তিনটি জাহাজে করে এক হাজার ৪০০জন পর্যটক সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে চলে আসেন। তারপর থেকে এই পথে জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছিল’।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মাইকিং করার পরও কিছু পর্যটক দ্বীপে থেকে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বৃহস্পতিবার তারা টেকনাফ ফিরে যাবেন’।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্র্যাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘সতর্ক সংকেত থাকায় দুই দিন সেন্টমার্টিন পথে জাহাজ, সার্ভিস ট্রলারসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল আগের নিয়মে চলবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।