পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে খ্যাত ভারতের মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। গত ১৫ দিনে মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও এপিএমসিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৮ শতাংশ।

গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ রুপি। মহারাষ্ট্রের কিছু বাজারেও একই অবস্থা। ধারণা করা হচ্ছে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়বে।

আহমেদনগর জেলার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান নন্দকুমার শিরকে বলেছেন, আহমেদনগর বাজারে পেঁয়াজের দাম গত ১০ দিনে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ রুপি বেড়েছে। মহারাষ্ট্রের বেশির ভাগ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলোতে পেঁয়াজের খুচরা মূল্য এখন প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ রুপি।

গত ১০ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও বাজারে পেঁয়াজের গড়ে পাইকারি দাম ছিল প্রতি কেজি ২৪ রুপি। আর গত মঙ্গলবার তা বেড়ে দাম হয় ৩৮ রুপি।
আগস্টে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। খরিফ শস্যের বীজ বপনে দেরির পাশাপাশি চাষের জমির স্বল্পতায় পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনতে নাফেদের (ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল কো–অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) কেনা পেঁয়াজ বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি শুরু করে।

বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ। নন্দকুমার শিরকে আরও বলেন, গত ১৫ দিনে মজুত ভাণ্ডার থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ ৪০ শতাংশ কমেছে; আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ আসত, গত ১৫ দিনে তা ২৫০ ট্রাকে নেমে আসে। খরিফ মৌসুমের লাল পেঁয়াজ বাজারে আসতে দুই মাস দেরি হচ্ছে। তাই দাম আরও বাড়বে বলেই তিনি আশঙ্কা করেন।

গত দুই বছরে কৃষকের ক্ষতি হওয়ায় এবার কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে খরিফ পেঁয়াজ বপন অনেকটাই কমে গেছে। সেই সঙ্গে এই দুটি রাজ্যে এবার বৃষ্টিপাতও কম হয়েছে।

এরপর রাজস্থানের আলোয়ার থেকে খরিফ পেঁয়াজ আসার কথা আছে। কিন্তু সেই রাজস্থানেও এবার ফলন ৪০ শতাংশ কম হবে বলেই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।