ঝিনাইদহে জমির লোভে ভাগনে সাইদুর রহমান রানাকে খুনের দায়ে মামা আব্দুল জলিল সরকারকে আদালত মুত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আব্দুল জলিল সরকার মহেশপুর উপজেলার ঘুগরী গ্রামের দুলু সরকারের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মহেশপুরের ঘুগরী গ্রামের দুলু সরকারের মেয়ে শিখা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার রইচ উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। এক বছর পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে শিখা বেগম ও রইচ উদ্দিন উভয়েই অন্যত্র বিয়ে করে। তাদের ছেলে সাইদুর রহমান রানা তার নানা বাড়িতে থাকত।
পরে ২০১১ সালে নানা দুলু সরকার ৪ কাঠা জমি নাতি সাইদুর রহমান রানার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়। ফলে মামা জলিলের সঙ্গে ভাগনে রানার শত্রুতা বেড়ে যায়। এর জের ধরে জলিল তার পিতামাতাকে মারধর করতে শুরু করে।
একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট সন্ধ্যার পরে জলিল ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর ভাগ্নে রানাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে জখম করলে আহত অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে ওইদিন রাতেই রানার পিতা বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় পেনাল কোড ৩০২ ধারার একটি মামলা দায়ের করে আব্দুল জলিল সরকারের বিরুদ্ধে।
আদালতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারকার্য শেষে সোমবার এ রায় প্রদান করা হয়। রায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আব্দুল জলিলকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। এ ছাড়াও তিন লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন আদালত। এ মামলার আসামি আব্দুল জলিল সরকার পলাতক রয়েছে।