কুমিল্লায় এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নাঙ্গলকোট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রা গ্রাম থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তরুণী কেন্দ্রা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার (১৭)। জলিলের স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তার তিন কন্যা ও দুই ছেলের মধ্যে ঝর্ণা চতুর্থ। সে গোত্রশাল কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পাশে দোকানে চা বিক্রি করেন ঝর্ণার বাবা। গত একমাস আগে দুবাই প্রবাসী জোড্ডা গ্রামের ফুফাতো ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে তার বিয়ে হয়। পূর্ণ বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ফাঁকা বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা আবদুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। রক্তে পুরো ঘর ভেসে গেছে। কয়েক দিন আগে আমার মেয়ের মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আমার ছেলে শাহীনের স্ত্রী কলি আক্তার ও মেয়ের এক বান্ধবীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। আমার ধারণা, ফোন চুরির ঘটনা আমার মেয়ের জন্য কাল হয়েছে।

নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘ওই নারীর মাথায় একাধিক কোপের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’