আবুল কালাম ,চট্টগ্রাম :
সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকে চতুর্থ দফায় দুইদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ জনসাধারণের জান মাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও আগুন সন্তাস রোধে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাহাসডকে টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) সদস্য রা।
রোববার (১২ নভেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টার অবরোধ চলবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ প্লাটুন বিজিবি।
এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।
চট্টগ্রামে ভোর থেকে বিজিবি মহাসড়কে টহল দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি টহল দল মহাসড়ক ছাড়াও নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, অবরোধের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মহাসড়কসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যের কয়েকটি টিম টহল দিচ্ছে।
অবরোধ ঘোষণার কারণে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ চট্টগ্রামের রেলপথসহ সব ধরনের যোগাযোগ ও জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোথাও কেউ নাশকতা করতে চাইলে তাদের প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
বিজিবির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রামে মাঠে রয়েছে র্যাব-৭। টহল দল জেলার মহাসড়কজুড়ে তাদের টহল কার্যক্রম চালাবে। যেকোনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পে রিজার্ভ টিম প্রস্তুত রয়েছে। নজর রয়েছে পোশাক কারখানাগুলোর দিকেও।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, রোববার সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।