জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ‘স্টল আউট’ মোশতাক এবং তিশার বই নিয়ে ‘প্রতারণা’ শুরু করেছে মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মীরা। মাসুদ নামে একজন উদীয়মান লেখক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মিজান পাবলিশার্সে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল পাঁচটায় অসম প্রেমে বিবাহিত জীবন নিয়ে খন্দকার মোশতাকের লিখিত ‘তিশার ভালোবাসা এবং
‘তিশা এন্ড মুশতাক’ বই দুটি মিজান পাবলিশার্স স্টলে আসে । সেদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদের মুখে স্টল আউট করা হয়েছে তাদের দুইটি বই।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মাসুদ একজন উদীয়মান লেখক ‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি কিনতে গেলে মিজান পাবলিশার্সের একজন বিক্রয় কর্মী ‘বইটি নেই,তবে একজন হাজার টাকা’ দিলে পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেন।
এই আশ্বাসে বিশ্বাস করে লেখক মাসুদ ওই বিক্রয় কর্মী কে এক হাজার টাকা দিলে তিশার ভালোবাসা বইটি না দিয়ে একই লেখকের অন্য বই ‘তিশা এন্ড মোশতাক’ বইটি প্রদান করেন।
কাঙ্ক্ষিত বইটি না দেওয়ার কারণে মাসুদ ওই বইটি ফেরত দেন। কিন্তু মাসুদের এক হাজার টাকা ফেরত না দিলে তিনি প্রতিবাদ জানান। কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে মিজান পাবলিশার্সের মালিক আ না ম মিজানুর রহমান পাটওয়ারী এর কাছে বিচার দিলে ওই এক হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়।
বই ক্রেতা লেখক মাসুদ জানান, ” আমি ‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি কিনতে চেয়েছিলাম। একজন বিক্রয় কর্মী বইটি নাই বলে জানান।কিন্তু তাকে এক হাজার টাকা দিলেই বইটি প্রদান করা হবে মর্মে আশ্বাস দিলে আমি এক হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু আমাকে মোশতাকের লিখিত তিশার ভালোবাসা বইটি না দিয়ে তার লেখা অন্য একটি বই প্রদান করা হয়”।
এই বিষয়ে মিজান পাবলিশার্সের মালিক আ না ম মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, “বিষয়টি ইতিমধ্যেই মিটমাট হয়ে গেছে”।
স্টল আউট করা বই কেন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।