সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে চার করণীয় নির্ধারণ পূর্বক রোববার থেকে নালা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার পৌর পরিষদ।
শনিবার বিকালে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা শেষে মেয়র মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সভায় চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সম্ভাব্য কারণগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, জরুরি সভায় পাহাড় কাটা, ড্রেনের অবৈধ স্থাপনা, বাসা-বাড়ির ময়লা ড্রেনে ফেলা ও অপরিকল্পিত উন্নয়নকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। তাহলেই পর্যটন শহরের দুর্ভোগ লাঘব সম্ভব।
“রোববার থেকে ভরাট হয়ে যাওয়া নালা-নর্দমা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন এবং দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে। দখলদারেরা যতই প্রভাবশালী হোক না কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
কক্সবাজার পৌরসভার ইতিপূর্বের কিছু উন্নয়নকাজ এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরের সমন্বয়হীনতাকে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী মন্তব্য করে পৌর মেয়র বলেন, “ অতীতে কিছু কিছু উন্নয়নকাজ যা হয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে হয়নি। ভবিষ্যতে সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে সমন্বয়হীন কোন উন্নয়নকাজ করতে দেওয়া হবে না। “
সভায় মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত জরুরি সভায় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম, প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু, ওমর সিদ্দীক লালু ও ইয়াছমিন আক্তার, কাউন্সিলর যথাক্রমে রাজ বিহারী দাশ, হেলাল উদ্দিন কবির, এম এ মনজুর, নুর মোহাম্মদ মাঝু, আক্তার কামাল, মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম মুকুল, এহেছান উল্লাহ, সাহাব উদ্দিন সিকদার, ওসমান সরওয়ার টিপু, শাহেনা আক্তার পাখি ও জাহেদা আক্তার, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, সচিব রাসেল চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ, কনজারভেন্সি শাখাসহ পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।