ছবিঃ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টিপু সুলতানের দক্ষিন হাজীপাড়া গ্রাম পরিদর্শন।

বার্তা পরিবেশক:
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তড়িৎ পদক্ষেপে পানিমুক্ত ৩শ পরিবার। ঝিলংজার দক্ষিন হাজীপাড়া গ্রামে ড্রেন দখল করায় পানি বন্দী প্রায় তিন’শ পরিবার।

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাজী পাড়া গ্রামে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় পানি বন্দী প্রায় তিন’শ পরিবার। যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের নেতৃত্বে সদর ইউএনও ফারজানা রহমানের তড়িৎ পদক্ষেপে পানিমুক্ত উক্ত এলাকার মসজিদ সহ বসবাসকারী পাঁচ হাজার মানুষ। সে সাথে দখলদার একই এলাকার মনজুর আলম ও জাহেদুল আলম নামে দুই ব্যক্তিকে সাবধান করে দেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অতি বৃষ্টির কারনে পানি বন্দী দক্ষিণ হাজীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। পানি বন্দীর কারন খতিয়ে দেখলে দেখা যায় একই এলাকার মনজুর আলম ও জাহেদুল আলম নামে দুই ব্যক্তি দীর্ঘ বছরের পানি চলাচলের ছড়া দখল করে বসতি নির্মাণ করেছে। বসতি নির্মাণ করার সময় কোন রকম পানি চলাচলের যায়গা রাখেনি তারা। ফলে মসজিদ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী অতি বৃষ্টির পানিতে বন্দী ছিল পুরা বর্ষা মৌসুম।

খবর পেয়ে ছুটে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। সদর ইউএনও ফারজানা রহমানের তড়িৎ সিদ্ধান্তে ভাঙ্গা হয় সীমানা প্রাচীর ও বের করে আনে পূর্বের পানিরছড়া। মুহুর্তে পানিমুক্ত হন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, দক্ষিন হাজীপাড়া এই গ্রাম সৃষ্টিলগ্ন হতে কোনদিন পানি দেখা যায়নি। পূর্বের পানির ছড়া দখল করায় এমন অবস্থায় পড়তে হয়েছে।
স্থানীয় ইদ্রিস বলেন, একই এলাকার ভূমিদস্যু মনজুর আলম ও জাহেদুল আলম এই পানির ছড়া দখল করে খাস জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে। ফলে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ সদর ইউএনও মহোদয়ের হস্তক্ষেপে আমরা সাময়িক পানি বন্দী হতে মুক্ত হলেও একটি স্থায়ী সমাধান দরকার।

স্থানীয়রা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা দ্রুত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাঁচ হাজার মানুষের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার পাশাপাশি অবৈধ দখলদার হতে পূর্বের পানির ছড়া পুনরায় চালু করার জোর দাবি জানা স্থানীয়রা।

এব্যাপারে নালা দখলের অভিযুক্ত জাহেদুল আলম সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমার রেজিষ্টার্ড যায়গা তবুও জনস্বার্থে আমরা নালার জন্য যায়গা ছেড়ে দিবো। এক সময় এখানে পানি চলাচলের যায়গা ছিল। আমি নিজ উদ্যোগে স্থানীয় জনসাধারন ও চেয়ারম্যানকে অনেকবার বলেছি ড্রেন ব্যবস্থা করতে কিন্তু তারা বিলম্ব করেছে তাই আজ তারা পানি বন্দী হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি বরাদ্দ যদি হয়, জনস্বার্থে যদি ড্রেন হয়, আমি সর্বাত্মক সহযোগীতা করবো ।

এব্যাপারে নালা দখলের আরেক অভিযুক্ত মনজুর আলম মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।