বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাজী পাড়া গ্রামে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় পানি বন্দী হয় প্রায় তিন’শ পরিবার। যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের নেতৃত্বে সদর ইউএনও ফারজানা রহমানের তড়িৎ পদক্ষেপে গত ১১ই জুলাই পানিমুক্ত হয় উক্ত এলাকার মসজিদ মাদরাসা সহ স্থানীয়রা।

আজ ১৪ই জুলাই (রবিবার) ঝিলংজার দক্ষিণ হাজীপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি গণস্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগ করে স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ বছরের নালা ভূমিদস্যু
দখলদার হতে পুনরুদ্ধার করার। সে সাথে একটি স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও অনুরোধ করেন। স্থানীয়রা নালাটি উদ্ধার করতে গিয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছিলেন বলেনও জানান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মনজুর আলম ও জাহেদুল রহমান জাহেদ নামে দুই ব্যক্তি উক্ত এলাকায় জায়গা জমির ব্যবসা করে। খাস জমির যে স্থানে দীর্ঘ বছরের নালা ও পানিরছড়া ছিল সেসব জায়গা বিক্রী করে তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেখানে এখন বসতি ও সীমানা প্রাচীর গড়ে উঠেছে। যার কারন অল্প বৃষ্টিতে স্থানীয়রা সহ মসজিদ মাদরাসা বৃষ্টির পানিতে থলিয়ে যায়।

পানি বন্দীর কারন খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, একই এলাকার মনজুর আলম ও জাহেদুল আলম নামে দুই ব্যক্তি শত বছরের পানি চলাচলের ছড়া দখল করে বিক্রী করে দেয়। যেখানে বর্তমানে বসতি গড়ে উঠেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। তাই মসজিদ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী বৃষ্টির পানিতে বন্দী হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ছুটে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। তাদের তড়িৎ সিদ্ধান্তে ভাঙ্গা হয় সীমানা প্রাচীর। বের করে আনে পূর্বের পানিরছড়া। মুহুর্তে পানিমুক্ত হন স্থানীয়রা।

এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে সমন্বয় করে শিঘ্রী একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিবেন। পূর্বের নালা অতিসত্বর পূনরুদ্ধার করার আশ্বাস দেন স্থানীয় বসবাসকারীদের।

অভিযোগের ব্যাপারে জাহেদুর রহমান বলেন, নালার জন্য আমি ৩শ ফিটের একটি পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করেছিলাম। মধ্যখানে চেয়ারম্যান একটি দুই লক্ষ টাকার বাজেট দিবেন বলায় আমি কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি পরামর্শ দিয়ে আরো বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাটা এমনভাবে করতে হবে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর কোন সমস্যায় না পড়ে। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় কিছু অতি উৎসাহী মানুষ বারবার ভিটা বাড়ির উপর দিয়ে ড্রেন করতে চায় সেটারও খেয়াল রাখতে হবে।

এব্যাপারে আরেক অভিযুক্ত মনজুর আলমকে তার ব্যবহৃত নাম্বারে কল দিলে পাওয়া যায়নি।