অনলাইন ডেস্ক:
টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোর-জি সেবা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে ফেসবুক চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী ৩১ জুলাই।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও চারটি মোবাইল অপারেটর এবং বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে ৩ দিনের জন্য ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা দেওয়া হবে বলেও পলক জানান।
পলক বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিকেল ৩টার দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের ফোর-জি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি পুনঃস্থাপন করতে পারবো। বিকেল ৩টার পর থেকে সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কের ফোর-জি ইন্টারনেট পুনঃস্থাপনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দেব।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ১৯ কোটি মোবাইল সিম গ্রাহক আছে। ১৩ কোটির বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন। বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশের ভেতরে ব্রডব্যান্ড মিলে ১৩ কোটি এবং দেশের বাইরে এক কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
পলক বলেন, গত ১৭ থেকে ২৮ জুলাই এ ১০ দিন সময়ের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি অনেক ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে, ১৭ ও ১৮ জুলাই কিছু কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধ এবং নির্দেশনা সাপেক্ষে বিটিআরসি ও এনটিএমসি থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিই। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু কিছু জায়গায় সাময়িকভাবে বন্ধ করি। ১৮ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মহাখালীর ত্রাণ পুনর্বাসন অধিদপ্তরের নিচতলায় সার্ভার সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বেশকিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী যারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কাছ থেকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য সংগ্রহ করেছে। দেখা গেছে যে, পরিকল্পিতভাবে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ডেটা সেন্টার পুড়িয়ে দেয়। ওই এলাকায় তিনটি ডেটা সেন্টার আছে, সেগুলোর ক্যাবলগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে সেখানে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করছিল তারা ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ওই একটা ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়া এবং সোর্স অব ইন্টারনেট ও ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল পুড়ে যাওয়াসহ সারা দেশে ওভারহেড ক্যাবল পুড়িয়ে দেওয়া, কেটে ফেলা এবং কক্সবাজার হয়ে ঢাকার ক্যাবল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা এটা দুই দিন পর জানতে পারি। সেগুলো সেনাবাহিনীর সহায়তায় মেরামত করা হয়। আর কুয়াকাটা থেকে আমরা জরুরি জায়গাগুলোতে ইন্টারনেট দিই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।