সিবিএন ডেস্ক:
বরিশালে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নগরীর সদর রোডে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় ছবি তোলায় দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামিম আহম্মেদ এবং যমুনা টিভির ক্যামেরাপারসন মো. তুহিনকে বেধরক পেটায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষ সদর রোড ফকির বাড়ি রোডসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের ধাওয়া এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অলি-গলিতে আশ্রয় নিলে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বরিশাল আদালত চত্বরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিচ্ছিল। আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বরে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এখানেও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এ ছাড়া নগরের কাকলীর মোড়, বটতলা এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকাতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার জেহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। নগরীর শান্তি-শৃখলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।