সিবিএন ডেস্ক
৯ বছর ভারতে অবস্থান করার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শিলং থেকে দেশে ফিরছেন। এজন্য তিনি ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পান। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ট্রাভেল পাস দেয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে মেঘালয় থেকে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩ মাসের মধ্যে দেশে ফেরার শর্তে ট্রাভেল পাস দেয়া হয় সালাউদ্দিন আহমেদকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিস থেকে ট্রাভেল পাসের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ট্রাভেল পাসটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি।’

বিএনপি-জামাত জোটের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। তখন ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন পুলিশের হাতে আটক হলে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয় সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এরপর ওই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ভ্রমণ অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশে পরিবারের কাছে ফিরতে চান।