নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের অন্যতম সর্বোচ্চ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফরিদুল আলম। তিনি মাদরাসার সহযোগী অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেবুন্নেছা চৌধুরী পদত্যাগ করায় রবিবার (১১ আগস্ট) মাদরাসার গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে ফরিদুল আলমকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
নিয়োগ প্রাপ্তির পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন এবং যথারীতি দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক ফরিদুল আলম জ্যেষ্ঠতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ জাফরউল্লাহ নূরীসহ একটি চক্র নানামুখী ষড়যন্ত্র করে তাকে চেয়ারে বসতে দেয়নি। বিধি লঙ্ঘন করে একে একে দুইজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট লিখিত অভিযোগ দেন অধ্যাপক ফরিদুল আলম। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে শুনানিতে আহ্বান করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি।
ফরিদুল আলম কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসায় প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর। সহকারি অধ্যাপক পদোন্নতি পান ২০১৭ সালের মে মাসে। ২০১৯ সালে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।
অধ্যাপক ফরিদুল আলম শুধু শিক্ষক নন। একাধারে তিনি গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠ শিল্পী। তার লেখা অনেক ইসলামী সংগীত, হামদ নাত ও দেশাত্মবোধক গান ইসলামী সংস্কৃতির জগতে সমাদৃত। বাংলা, ইংরেজি, আরবি ভাষার পাশাপাশি উর্দুতেও রয়েছে তার দক্ষতা। সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনার জন্য ফরিদুল আলমকে সব মহল পছন্দ করেন।
১৯৮৮ সালে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ফাজিল এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করেন ফরিদুল আলম। তিনি একজন কুরআনে হাফেজ। দক্ষ শিক্ষক ও সংগঠক হিসেবে রয়েছে তার সুখ্যাতি।
অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে মহান আল্লাহর রহমত ও সহকর্মীসহ সবার দোয়া কামনা করেছেন অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।